ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম – বর্তমান সময়ে এমন কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা করার মাধ্যমে ব্রেন স্ট্রোক রোগী পেতে পারেন ভালো উপকারিতা।
ব্রেইন স্ট্রোক কেন হয় | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
স্টক বা ব্রেন অ্যাটাক মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভিতর রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলি কে কাজ করা বন্ধ করতে বা মারা যেতে পারে। যখন মস্তিষ্কে স্নায়ু কোষগুলোই মারা যায় তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের অঙ্গ গুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায় মস্তিষ্কের প্রভাবিত অংশের উপর নির্ভর করে লোকেরা বাকশক্তি অনুভূতি পেশা শক্তি দৃষ্টিশক্তি বা স্মৃতিশক্তি হারাতে পারে কিছু লোক সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করে অন্যরা অর্জন করে মারা যেতে পারে।
আপনি যদি স্ট্রোকের লক্ষণগুলি চিনতে পারেন এবং অবিলম্বে চিকিৎসা করাতে পারেন তবে আপনি আপনার মৃত্যু বা অক্ষমতার সম্ভাবনা অনেক বেশি কমাতে পারবেন।
দ্রুত চিকিৎসাও জীবন বাঁচাতে পারে, এটি আরো গরুর তোর দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা ও প্রতিরোধ করতে পারে। স্টপ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা পেতে হবে স্টক শুরু হওয়ার ৬০ মিনিটের মধ্যে তাদের হাসপাতালে পৌঁছানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্টক করার সাথে সাথেই রোগীকেও দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র অ্যাপোলো হসপিটাল।
ব্রেইন স্ট্রোকের লক্ষণ | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
ব্রেইন স্ট্রোকের অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে যেমন :
- মুখ, বাহু বা পায়ের হঠাৎ অসারতা বা দুর্বলতা বিশেষ করে শরীরের একপাশে।
- হঠাৎ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়া ,কথা বলতে বুঝতে সমস্যা হওয়া।
- হঠাৎ এক বা উভয় চোখে কম দেখা, বা অসুবিধা হওয়া।
- হঠাৎ হাঁটতে সমস্যা হওয়া, মাথা ঘোরানো, ভারসাম্য বা সমন্বয় হারানো।
- কোন অজ্ঞত কারণ ছাড়াই হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে: More: তিনটি সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম
ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
সাধারণত স্টক হলে শরীরের কোন কোন অংশের মাংস বেশি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে রোগীরা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তবে দৈনন্দিন কার্যক্রম একা একা সম্পাদন করা ঠিক কঠিন হয়। তেমনি একই অবস্থা থেকে উচ্চারণের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা বা সিজিওথেরাপির অনেক বেশি গুরুত্ব রয়েছে।
কেন ব্রেন স্টোক রোগীর ব্যায়াম করা জরুরী
ব্যায়াম করার কারণে পক্ষাঘাতের রোগীর অবস্থার কতটা উন্নতি হবে, তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে , যত দ্রুত ফিজিওথেরাপি শুরু করা যায় ততই এর সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারেন।
খেয়াল রাখতে হবে ফিজিওথেরাপি কার্যকর ভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা , সেটাও গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীর পেশি কত দুর্বল হয়েছে এটিও বিবেচ্য বিষয়।
More: কোমরের ব্যথা কমানোর সহজ ব্যায়াম
ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রোগী যদি নিজের কাজটুকু করার মত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন তাতেই অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে রোগী। যদি ধীরে ধীরে অন্যান্য কাজগুলো পূর্বের মতো ক্ষমতায় ফিরে পায় যেমন লিখতে পারা তাহলে আরো বেশি স্বস্তির খবর। তবে শতভাগ সেরে ওঠা হয়তো সম্ভব হবে না এটা সত্য।
ব্রেন স্টোক রোগীর সিমটম | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
একজন মানুষ ব্রেন স্ট্রোক করলে তার মধ্যে অনেক প্রকার নমুনা দেখা দেয়, যেমন হতে পারে কারো মুখ বেঁকে যায় কথা বলতেও খাবার খেতে অসুবিধা হয় কেউ কেউ ঘুমের সময় উচক পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেন না একেক রকম রোগীর জন্য এক এক রকম ধরনের ব্যায়াম রয়েছে তবে ফিজিওথেরাপির ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে।
ব্রেন স্ট্রোক রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
প্রথমত চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে জানতে হবে। ফিজিওথেরাপি সেন্টারে বা হাসপাতালে থাকার সময় ফিজিওথেরাপি করানো যায় আবার বাড়িতে গিয়েও ফিজিওথেরাপি করানোর ব্যবস্থা আছে।
প্রাথমিকভাবে পেশাদার এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য দরকার হলেও পরবর্তী সময় পরিবারের সাধারণ লোকজনই শিখে নিয়ে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন।
স্টকের রোগীর উন্নতি খুব ধীরে ধীরে হয়ে থাকে তাই মানসিক সমর্থন থাকা খুবই জরুরী অনেক সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে স্টক হলে সঙ্গে সঙ্গে ফিজিওথেরাপি না দেওয়া ভালো কখনো শুরু করতে হবে তা চিকিৎসক বলতে পারবেন। তবে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ তাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে তার মানসিক দিকটা বিবেচনা করতে হবে সে যাতে ভেঙে না পড়ে চিন্তিত না হয় এ বিষয়ে তাকে শতভাগ সহযোগিতা করতে হবে।
ফিজিও বা ব্যায়াম না করানোর ক্ষতি | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
ফিজিওথেরাপি না নেওয়া হলে ভাববেন না করা হলে রোগীর পেশীর শক্তি কেমন ফিরে পায় না বিছানা থেকে উঠতে না পারা হাটতে না পারায় নিজের দৈনন্দিন কাজ করতে না পারার কারণে রোগী মানসিক যন্ত্রণা ও বিষন্নতায় আক্রান্ত হন।
More: ৫ মিনিট ব্যায়াম করে পেটের গ্যাস দূর করুন
খাদ্যনালী জীব ইত্যাদি আক্রান্ত হলেন নাকে নলের মাধ্যমে খাওয়াতে হয় এটাও একটা বড় ঝুঁকি মুখমণ্ডলের বেশি দুর্বল হলে পচা জড়িয়ে আসে চোখ বুঝতে না পারলে চোখে সংক্রমনে আশঙ্কা থাকে।
সাধারণভাবে দুর্বল পেশী বা দুর্বল পাঁশটি রোগী কম ব্যবহার করতে চান ফলে এই দুর্বল পেশির আকার ছোট হয়ে আসে কুচকে যায় ও শক্ত হয়ে যায় । অবশ অংশে সংক্রমণ ঘা , বা বেড় সোর রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেধে চাওয়ার মত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
একজন ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। এবং জেনে বুঝে খাবার খাওয়াতে হবে। কি সেই ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা?
এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন হতে পারে রঙ্গিন সাক-সবজি, ফলমূল, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি বা সচল করতে। পুষ্টি সম্মত খাবার অথবা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক কোষ গুলোকে সুস্থ করতে সাহায্য করে। এছাড়া সার্বিকভাবে স্ট্রোকের রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে বাদাম, সমুদ্রের মাছ, হলুদ, ডিম, আঙ্গুর, আঙ্গুর জাতীয় ফল-মূল। এছাড়াও রয়েছে গ্রিন টি মাছ-মাংস ইত্যাদি। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করায় ভালো।
ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ | ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
ব্রেন স্ট্রোকের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো: ইস্কেমিক স্টোকের এর প্রধান চিকিৎসা হলো, টিস্যু প্লাজমিনোজেন আ্যক্টিভেটর ( TPA ) নামের ঔষধ। পেটে রক্তের জমাট ভেঙ্গে দেয় যা আপনার মস্তিষ্ককে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। একজন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী আপনার বাহুতে একটি শিরাতে টিপিএ ইনজেকশন করবেন এ ধরনের ঔষধ স্টকে লক্ষণ শুরু হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে দিতে হবে।
সর্বশেষ: ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম , লক্ষণ, কেন হয়, চিকিৎসা, খাবার তালিকা, ঔষধ সহ নানাবিধ আলোচনা করা হলো। প্রত্যেকটি তথ্য আমরা বিভিন্ন ডক্টর এবং trusted জায়গা থেকে সংগ্রহ করি। আশা করি আপনারা উত্তর বিষয়ের উপরে লক্ষ্য রাখলে ব্রেন স্ট্রোকের মত কঠিন রোগ থেকে সতর্ক থাকতে পারবেন।
More: পুরুষদের কেগেল ব্যায়াম করার নিয়ম
আমাদের হেলদি ফুড এই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো ফল এবং খাবার সম্পর্কে সব বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এখানে প্রবেশ করলে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন ধন্যবাদ।
