কিসমিস এর উপকারিতা

0
51
কিসমিস এর উপকারিতা
কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এই Blog এর মাধ্যমে আলোচনা করা হলো।

কিসমিস সম্পর্কে

কিসমিস এর উপকারিতা

উপরে যে পিকচারটি দেখতে পাচ্ছেন এই খাবার থেকেই আমরা মূলত কিসমিস হিসেবে চিনে থাকি। মূলত কিসমিস হল শুকনো আঙ্গুর। বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে কিসমিস উৎপাদিত হয়। কিসমিসে রয়েছে অনেক গুনাগুন। কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ।

কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস শরীরের দূষিত কোলেস্টেরল দূর করে, কিসমিসে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। বিভিন্ন রোগে ডাক্তারগণ বা চিকিৎসা বিজ্ঞান কিসমিস খাওয়ার কথা বলে থাকে।

  • ব্লাড প্রেসার বা উক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • রক্ত সল্পতা বা রক্তশূন্যতা কমে যায়।
  • হজম শক্তি বাড়ায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
  • শরীরের ক্ষতিকারক বিষক্রিয়া দূর করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • উপকারী ওজন বাড়ায়।
  • ঘুম ভালো হয়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • ত্বক ভালো রাখতে খুবই উপকারী।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
  • আরো জানুন:

এছাড়াও কিসমিস খাওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে প্রাক্টিক্যালি বুঝতে হলে, প্রত্যেকদিন সকালে ৭/১০ কিসমিস ভিজিয়ে খালি পেটে খান। এভাবে এক মাস গেলে আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। যা হাজার টাকার ওষুধ খেলেও অনুভব করা সম্ভব না।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম | কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিসকে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর কিসমিস এবং  পানি একত্রে খেয়ে নিতে হবে।

কিসমিস পানিতে ভিজালে, পানিতে কিসমিসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন: লৌহ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, বোরন ইত্যাদি মিশে যায়।

আরো জানুন: কাঠ বাদাম এর উপকারিতা – কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম

এই পানি আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। কিসমিস থেকে প্রাপ্ত লৌহ উপাদানটি আমাদের রক্ত উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন সকালে কয়েকটি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে নিয়মিত খেয়ে নিতে হবে।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত ?

কিসমিস অবশ্যই আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ ছাড়াতে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী একটি খাবার, অনেক ক্ষেত্রে এটি পায়েস সহ বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়। এবং খাবারের স্বাদও বেড়ে যায়। তবে প্রশ্ন হল প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত?

আরো জানুন: কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

হ্যাঁ এটা জেনে নিন যে , সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে এটি খেলে অনেক উপকার মিলে তবে তা খেতে হবে পরিমিত। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রত্যেকদিন 40 থেকে 50 গ্রাম কিসমিস খাওয়া ভালো। তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কিসমিস ভিজিয়ে রাখলে, কিসমিসের মধ্যে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়, এতে করে আপনার হজম শক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। রক্তস্বল্পতা দূর করে, কারণ কিসমিসে রয়েছে আয়রন হোলিক এসিড এবং ভিটামিন বি। এই উপাদানগুলি শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য।

আরো জানুন: চিনাবাদাম এর উপকারিতা

 

দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

বিবাহিত পুরুষগণ দুধ, কিসমিস, জাফরান, একসাথে খেতে পারেন। পেতে যৌন সমস্যার সমাধান হবে। সহবাসের সময় বাড়বে। লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পুরুষাঙ্গ শক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি?

বেশ কিছু কিসমিস এমনি এমনি খেয়ে নিন, অন্যরা কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খান। কিসমিস রয়েছে পটাশিয়াম, যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য কি ভালো লাগবে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করবে। কিসমিসের অন্যতম উপাদান আয়রন যা রক্তস্বল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা আপনার শরীরে এনার্জি যোগায়। আমাদের মায়েরা অনেক সময়ের রক্তস্বল্পতায় ভোগেন, তাই চিকিৎসকরা বলেন কিসমিস খাওয়ার জন্য। কিসমিস খেলে রক্তস্বল্পতা ও দূর হয়।

উপসংহার: কিসমিস এর উপকারিতা এবং কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই Blog থেকে অনেক উপকার পাবেন। ব্যক্তি জীবনে আমিও এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে কিসমিস খাওয়া শুরু করেছি।

দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রিয় ভিজিট, জীবনে চলার পথে কাজ চাকরি-বাকরির পাশাপাশি আমাদের শারীরিক সচেতন থাকা দরকার। সামনে রেখেই আপনাদের জন্য অনেক তথ্য বহুল আলোচনা আমাদের ওয়েবসাইকে পাবলিশ করা হয়।

অনুরোধ: আমাদের হেলদি ফুড এই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো ফল এবং খাবার সম্পর্কে সব বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এখানে প্রবেশ করলে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন। পরিশেষে ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here