বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024

0
6
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024 একদমই সহজ। কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে কোন দোকানে না গিয়ে সহজে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের ব্লগে।

২০২৪ সালে এসে আমরা সবাই কিন্তু বিকাশ ব্যবহার করি কিন্তু এখনো যাদের বিকাশ একাউন্ট খোলা নেই তারা এই মুহূর্তে শুধু একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন একজন সহজে।

বিকাশ বাংলাদেশের মানুষকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদ উপায়ে সহজে টাকা পাঠানো এবং পেমেন্টের সেবা প্রদান করে থাকে।

যেকোনো অপারেটর সিম ব্যবহার করে মুহূর্তে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন । বর্তমানে airtel, banglalink, টেলিটক, গ্রামীণ এবং রবি গ্রাহকগণ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ফোনের বিকাশ অ্যাপ থেকে।

চলুন তাহলে জেনে সহজে কিভাবে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলবেন ?

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024

বিকাশ এপসের মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

  • সংক্রিয় ফোন নাম্বার।
  • এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন।
  • এনআইডির মূল কপি।

এই দুটি থাকলে আপনি সহজেই নতুন একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। সহজেই নতুন একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিচের ধাপ গলো অনুসরণ করুন।

  • বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন
  • লগইন বা রেজিস্ট্রেশন অপশনে টাচ করুন।
  • অপারেটর বেছে নিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিন।
  • মোবাইলে আসা এসএমএস ভেরিফিকেশন কোড সাবমিট করুন।
  • শর্ত বালি মেনে সম্মতি দিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের ও পেছনের অংশের ছবি তুলুন।
  • এবার ক্যামেরা থেকে নিজের চেহারার ছবি তুলুন।
  • Confirmation এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করুন
  • এই তথ্য যাচাই করতে বিকাশের সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।
  • কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার পাসওয়ার্ড অথবা পিন সেট করে নিন।
  • Pin নাম্বার সেট করতে বিকাশ অ্যাপ এ গিয়ে Pin সেট অপশনে ট্যাব করুন
  • এবং 5 সংখ্যার Pin দিয়ে নিশ্চিত করুন।
  • ব্যাস হয়ে গেল বিকাশ নতুন একাউন্ট ওপেন করা।
  • এবার বিকাশ অ্যাপ এ লগইন করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিকাশ কর্তৃপক্ষ কখনোই আপনার একাউন্টের পিন নম্বর জানতে চাইবে না। বিকাশ একাউন্টের পিন কেবলমাত্র শুধুমাত্র আপনার কাজেই এই পিন কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

এই নিয়ম মেনে আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলতে না পারলে, কাছাকাছি কোন বিকাশ এজেন্ট এর কাছে গিয়ে এই তথ্যগুলো দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।

বিকাশ ব্যবহারের সুবিধা সমূহ:

  • মোবাইল রিচার্জ করা
  • বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল, অন্যান্য পেমেন্ট প্রদান।
  • দেশ বিদেশে টাকা পাঠানো।
  • দেশ-বিদেশ থেকে সহজেই টাকা লেনদেন।
  • বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিল পেমেন্ট।
  • মোবাইলে এমবি ও বান্ডেল ক্রয় করা।
  • অনলাইন শপিং।
  • অনলাইন পেমেন্ট।
  • সেন্ড মানি।
  • ক্যাশ আউট।
  • সেভিংস করার সুবিধা।
  • ক্ষুদ্র লোন নেওয়ার সুবিধা।
  • বিকাশ টু ব্যাংক।
  • মাইক্রো ফাইন্যান্স।
  • এডুকেশন ফি।
  • রেমিটেন্স সুবিধা।
  • ওয়েব মানি টু বিকাশ।
  • ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম।

ইত্যাদি সহ বহু সুবিধা রয়েছে বিকাশ একাউন্টে।

বিকাশ ব্যবহারের সতর্কতা।

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ প্রতারক বিকাশের কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সব সময় বিকাশের পিন সংরক্ষিত রাখুন।

  • বিকাশ থেকে কখনোই আপনার পিন জানতে চাওয়া হবে না এটা নিশ্চিত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত লেনদেনের বিবরণ পরীক্ষা করুন।
  • কোন অস্বাভাবিক লেনদেন দেখা গেলে অবিলম্বে বিকাশ গ্রাহক সেবা কর্তৃপক্ষকে জানান।
  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বিকাশ সেবা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোন মানুষের কাছে সহযোগিতা না চেয়ে সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করার জন্য কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো যে তথ্যগুলো অনুসরণ করলে আপনি সরাসরি বিকাশের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

যেকোনো সিম অপারেটর থেকে নিচের দেওয়া নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন।

  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার: 16247 অথবা 02-55663001
  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ার email : support@bkash.com
  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ার ওয়েবসাইট: www.bkash.com

এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে সরাসরি আপনি লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

নিচের দেওয়া স্ক্রিনশট টি ফলো করুন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট কি?

বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট হলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভাসমান উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ভিত্তিক উদ্যেক তাদের জন্য বিকাশের পক্ষ থেকে এমন একটি একাউন্ট যার মাধ্যমে খুব সহজেই এবং দ্রুত একাউন্ট খোলা যাবে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্য এবং সেবা প্রদানের বিপরীতে পেমেন্ট নেওয়া যাবে।

বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে প্রতি লেনদেন লিমিট ৩০০০০ টাকা। বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট খোলার জন্য আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র এবং মোবাইল নাম্বারে মালিকানার প্রমাণ অবশ্যই প্রয়োজন।

সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানতে লিংকে ক্লিক করুন।

বিকাশে একদিনে কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায়?

একজন বিকাশ গ্রাহক বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন ।এজেন্ট এবং এটিএম ব্যাংক থেকে সম্মিলিতভাবে।

বিকাশ একাউন্ট কিভাবে খুলব?

বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সিম্পল! একটি বৈধ ফোন নাম্বার এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করে, সহজে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে এবং নিজের ছবি তুলে এনআইডির ছবি তুলে সহজেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশে 1000 টাকা কত টাকা লাগে?

বিকাশে হাজারে ১৪.৯০ টাকা  কাটে ক্যাশ আউট করার ক্ষেত্রে। ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করুন দুইটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে। যে কোন গ্রাহক যেকোনো দুটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে হিসেবে সেট করতে পারবেন আর ক্যাশ আউট করতে পারবেন ১.৪৯% টাকা চার্জে, প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত।

উপসংহার: ২০২৪ সালে নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি আপনারা উক্ত ব্লকটি থেকে অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here