পুরুষদের কেগেল ব্যায়াম করার নিয়ম – পুরুষদের ব্যায়াম করার অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে কোন পুরুষ যদি নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ রক্ত সঞ্চালনের মত বড় ধরনের উপকারিতা পেয়ে থাকেন।
প্রশ্ন হল কেগেল ব্যায়াম কি ?
কেগেল ব্যায়াম হলো পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলির সংকোচন প্রসারণ ব্যায়াম । যা পেশী গুলিকে শক্তিশালী করে প্রসাব, মলত্যাগ এবং যৌনতার মত শারীরিক কার্যকলাপে সহায়তা করে। শরীরের মার্সেল শক্তিশালী করে। ব্লাডের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে । তার জন্যই এই ধরনের এক্সারসাইজ খুবই জরুরী।
পুরুষদের কেগেল ব্যায়াম করার নিয়ম
প্রথমে আপনার পেলভিক ফ্লোর বেশি শক্ত করুন। তিন সেকেন্ডের জন্য সংকোচন ধরে রাখুন এবং তারপরে তিন সেকেন্ডের জন্য শিথিল করুন। এটি পরপর কয়েকবার চেষ্টা করুন। আপনার পেশী শক্তিশালী হয়ে গেলে বসে থাকা দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় কে গেল ব্যান করার চেষ্টা করুন।
কেগেল ব্যায়াম কিভাবে পুরুষের জন্য উপকার করে ?
কে গেল ব্যায়াম পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই প্রসাবের অসংযম চিকিৎসার জন্য উপকারী হতে পারে। টেগেল ব্যায়ামও যৌন তৃপ্তি বাড়াতে পারে । যা মহিলাদের পম্পোয়ার সম্পন্ন করতে দেয় এবং পুরুষদের অকাল বীর্যপাত কমাতে সাহায্য করে। কেগেল পেশী দ্বারা সঞ্চালিত অনেক কর্মের মধ্যে রয়েছে যেমন প্রসাব আটকে রাখা এবং মলত্যাগ করানো।
ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়
এটি প্রত্যেক মানুষের শারীরিক অবস্থার উপরে নির্ভর করে, তবে অধিকাংশ মানুষের জন্য ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে কয়েক ঘন্টা পর ব্যায়াম করা উচিত। মনে রাখতে হবে কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে বিকেল মানে ঘুম থেকে ওঠার ছয় ঘন্টা পর ও বারো ঘণ্টার মধ্যে।
সকালে না রাতে ব্যায়াম করা ভালো ?
দেখুন যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অনেক সময় জানতে চান যে রাতে ব্যায়াম করা ভালো না সকালে? বিজ্ঞান মতে সকাল বনাম সন্ধ্যায় ওয়ার্কআউট কোনটি ভালো? হ্যাঁ সারাদিনের আরো ফোকাস এবং শক্তির জন্য বা কিছুটা ওজন কমানোর জন্য একটি সকালে সেশন উপযুক্ত আপনার শক্তি এবং সহনশীলতা উন্নত করার জন্য আপনি যদি সন্ধ্যায় জিমে চমক দেন তবে আর সম্ভবত আপনি আরো ভালো ফল দেখতে পারবেন। এক কথায় বলা যায় যারা সুস্থ সবল তারা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করাই ভালো।
তবে সকালে খানিক হাটা যেতে পারে যা বাথরুম ক্লিয়ার হওয়ার জন্য কার্যকরী। এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেও একটি উপকার হতে পারে।
তবে আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন।
কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শরীরের সকল রোগ ভালো হয়ে যাবে অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আপনার প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যায়ামও হয়ে যাবে।
নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম করলে কি হয় ?
আপনি যদি নিয়ম মানে এগেল ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারেন তাহলে অনেক ধরনের উপকারিতা দেখতে পাবেন।
- পেশী শক্তিশালী করে ।
- প্রসাবের ফুটো রোগ প্রতিরোধ করে ।
- গর্ভবতী নারী করার মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সহজতা বৃদ্ধি পায় ।
- নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম করলে পিঠের ব্যথা ভালো হয়।
কেগেল ব্যায়াম করার ছবি
কেগেল ব্যায়ামের অপকারিতা
বলতে গেলে কেগেল ব্যায়ামের কোন অপকারিতা নেই উপকারিতাই বেশি তাই এ নিয়ে টেনশন করারও বেশি কিছু নেই। তবে যাদের স্বাস্থ্য সুখী আছে বাসার এই দুর্বলতা আছে তারা এটি না করাই ভালো।
উপসংহার: পুরুষদের কেগেল ব্যায়াম করার নিয়ম সহ , আমাদের হেলদি ফুড এই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো ফল এবং খাবার সম্পর্কে সব বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এখানে প্রবেশ করলে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন ধন্যবাদ।
