কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

0
18
কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা
কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা, সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহের শেষ নেই। কারণ তিল কালো হলেও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বন্ধুগণ এই ব্লগের মাধ্যমে কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

কালো তিলের পরিচয়

কালো তিল বীজ হলো প্রাচীনতম তৈল বীজ ফসল গুলির মধ্যে একটি, যা তিন হাজার বছরের বেশি আগে গৃহপলিত হয়েছিল। এখন সাধারণত বেশিরভাগ বন্য এলাকায় হয়ে থাকে, বিশেষ করে আফ্রিকান স্থানীয় বন এলাকায় এর ফসল বেশি দেখা যায়। যে কোন ব্রিজের মধ্যে তিলের তেলের পরিমাণ সর্বোচ্চ একটি সমৃদ্ধ বাদামের স্বাদ সাথে খাওয়া যায়।

কালো তিলের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ, এটি যেমন খেতে মজা ঠিক তেমনি ভাবে এর উপকারিতা অনেক রকম। আজকের এই Blog এর মাধ্যমে আমরা এটাই জানতে চলেছি যে, কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা কি?

কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

নিচে আমরা ১৫ টি কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চরম জেনে নেয়া যাক কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

১. দৈনিক সকালে এক চামচ কালো তিল অল্প করে মুখে নিয়ে চিবিয়ে যখন রসের মত হয়ে যায় তখন গিলে খেয়ে ফেলুন। তিল খাওয়ার ৩ ঘন্টা সময় পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না। এভাবে তিল খেলে সঙ্গে সঙ্গে তেলের মালিশও করা যায়, এভাবে তিল খেতে পারলে, অতিরিক্ত চিকন থেকে স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। এবং যারা অতিরিক্ত মোটা তাদের ভুঁড়ি বা মেদ কমে যাবে।

২. বর্তমান সময়ে অনেকের শরীরের বৃদ্ধি কমে যায়, কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা এটাই যে নিয়মিত তিল খেলে তাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য উপকার বয়ে আনবে।

৩. অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মাড়ির দাঁত দুর্বল হয়ে যায়, পোকা ধরে বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, এই মুহূর্তে যদি আপনি কালো তিল চিবিয়ে খান, তাহলে আপনার দাঁত মজবুত হতে পারে।

৪. বর্তমান সময়ে আমরা সর্দি কাশি হলেই ডাক্তারের কাছে চলে যাই মেডিসিনের জন্য, অথচ আপনার ঘরে কালো তিল আছে যা যেকোনো মেডিসিন থেকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সর্দি-কাশিতে। সর্দি কাশি অথবা বুকে কফ জমে যায় যাদের তারা দ্রুত কালো তিলের সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে নিন। এটা নিয়মিত খান তাহলে আপনার সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমা রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

৫. যাদের মাথার চুল পেকে যাচ্ছে, বা অকালে চুল পড়ে যাচ্ছে, তারা কালো তিলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন, কালো তিল আপনার চুল পড়া এবং পাকা সমস্যা থেকে দূর করতে সাহায্য করে, কালো তিল তেল বানিয়ে ব্যবহার করলে চুল গজায় এবং চুল পড়া বন্ধ করে।

৬. রূপচর্চায় কালো তিলের তেল শরীরের ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং শরীরের অনেক রোগ ভালো করে।

৭. যাদের তীব্র মাথাব্যথা হয় তাদের জন্য এটি অনেক বেশি উপকারী । কারণ কালো তিল খেলে বা তেল বানিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে, মাথার যন্ত্রণা বা ব্যথা ভালো হয়। এবং জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৮. মাতৃ গর্ভাবস্থায় অথবা স্বগর্ভ অবস্থায় অনেক রোগ ভালো করে কালো তিল। কালো তিল, যব, চিনির চূর্ণ করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। এতে রক্ত স্রাব বন্ধ হয়।

৯. আপনার সন্তান কি বিছানায় পেশাব করে? তাহলে কালো তিলের উপকারিতা জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ কালো তিল হতে পারে এর উপকারী সমাধান। আপনার সন্তান যদি রাতে বিছানায় পেশাব করে তাহলে কালো তিল আর তার সঙ্গে এক টুকরো মুলা তরকারি খাওয়ালে শিশুর হাতে বিছানায় প্রসাব করা বন্ধ হয়।

১০. পুড়ে যাওয়া ব্যথার যন্ত্রণা তারাই জানে যাদের শরীর মাঝেমধ্যে আগুনে পুড়ে যায়। তবে এখানেও রয়েছে কালো তিলের উপকারিতা। পুড়ে যাওয়া বা ঝলসে যাওয়ার জায়গায় কালো তিলের তেল লাগালে খুব দ্রুত নিরাময় হয়ে ওঠে ।

১১. শরীরের কোন অংশ অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করলে বা ব্যথা অনুভব করলে, কালো তিল মিহি করে দুধ দিয়ে প্রলেপ দিলে ব্যথা দূর হয়।

১২. আমাশয় ভালো করতে, একভাগ কালো তিন পিষে নিয়ে চিনি দু’ভাগ এবং ছাগলের দুধ চার ভাগ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে দ্রুত আমাশয় ভালো হবে।

১৩. কারণবশত বিভিন্ন ক্ষত বা ঘা হয়ে থাকলে, কালো তিল হতে পারে মলমের থেকেও মহা ঔষধ। ব্যবহার পদ্ধতি: কালো তিল পিসে নিন + মধু এবং ঘি মিশিয়ে মলম বানিয়ে লাগিয়ে দিন। যেকোনো মলমের থেকে দ্রুত কাজ করবে।

১৪. বাচ্চাদের মল থেকে অনেক সময় রক্ত পড়ে, এক্ষেত্রে কালো তিল আর যিনি একসঙ্গে পিষে মধু মিশিয়ে চাটালে বাচ্চাদের মল থেকে রক্ত পড়া দ্রুত বন্ধ হয়।

১৫. মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিকমতো না হলে অথবা খুব ব্যথা হলে তিলের তেল খান। ২ চামচ তিল পিষে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবং চতুর্থাংশ পানি থেকে গেলে সেই পানিটুকু পান করলে মাসিক ঠিকমতো হয়। আরো জানুন:

সাদা তিল ও কালো তিলের পার্থক্য

সাদা তিল ও কালো তিল এর মধ্যে পার্থক্য এটাই যে, কালো তিলে সাদা তিলের তুলনায় বেশি পুষ্টি রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি উপকারী।

কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা
কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

 

কারণ হলো কালো তিলের খোসা থাকে। যার কারনে এতে Micronutrients থাকে। সাদা তেলের তুলনায় কালো তিলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এ কারণে কালো তিল খেলে হার্ট সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে।

কালো তিলের অপকারিতা

কালো তিলে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই, এর উল্লেখযোগ্য কোন অপকারিতার দিক নাই। তবে নিয়মতান্ত্রিক এটি পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অপকারিতা হতে পারে।

সাদা তিল খাওয়ার উপকারিতা | কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

সাদা তেলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবারে এই সাদা টির ব্যবহার করলে শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকরী এই সাদা তিল। সাদা তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা শরীরের হাড় মজবুত করে । শরীরের গঠন সুন্দর করে।

উপসংহার: কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা Blog থেকে অনেক উপকার পাবেন। ব্যক্তি জীবনে আমিও এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে কালো তিল খাওয়া শুরু করেছি।

দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রিয় ভিজিট, জীবনে চলার পথে কাজ চাকরি-বাকরির পাশাপাশি আমাদের শারীরিক সচেতন থাকা দরকার। সামনে রেখেই আপনাদের জন্য অনেক তথ্য বহুল আলোচনা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়।

অনুরোধ: আমাদের হেলদি ফুড এই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো ফল এবং খাবার সম্পর্কে সব বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এখানে প্রবেশ করলে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন। পরিশেষে ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here